ঘি – হাতে বানানো – হালাল ও খাটি ঘি ১ পোয়া- (২৫০গ্রাম)
700৳ Original price was: 700৳ .590৳ Current price is: 590৳ .
গৃহিণী ও কৃষকদের নিষ্ঠা ও পরিশ্রম এ দোয়ানো দুধ থেকে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে সরাসরি প্রস্তুত এই ঘিতে কোন রকম কৃত্রিম উপাদান বা সংরক্ষক মেশানো হয় না। ফলে আপনার কাছে পৌঁছে যায় একেবারে অকৃত্রিম, খাঁটি দেশি ঘি।
ঘি প্রস্তুত প্রণালী
খাঁটি গরুর দুধ সংগ্রহ করে প্রথমেই তা ভালো করে ছেঁকে নেওয়া হয়। এরপর ক্রিম সেপারেটর মেশিনের সাহায্যে দুধ থেকে ক্রিম আলাদা করা হয়। দুধ থেকে ক্রিম সেপারেট করা হয়ে গেলে কাঠের চুলায় খুব ভালো করে সময় নিয়ে ক্রিম জ্বাল করে নেওয়া হয়। এ সময় খুব যত্ন সহকারে ২ থেকে ৩ ঘন্টার মতো অনবরত ক্রিম নাড়তে হয় যেন তা নিচে লেগে অথবা পুড়ে না যায়। ক্রিম জ্বাল হয়ে ধীরে ধীরে রং পরিবর্তন করে, এক সময় গাঢ় সোনালী রঙে পরিণত হয়, এটি মূলত খাঁটি ঘি এর আসল রং। এরপর খানিকটা ঠান্ডা হলে ছেঁকে নেওয়া হয়। ২/৩ দিন সংরক্ষণ করার পর উপর থেকে খাঁটি ঘি তুলে নেওয়া হয় এবং সর্বশেষে বোতলজাত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে চলে আসে আমাদের কাছে। আর এভাবেই আপনাদের হাতে, আমরা তুলে দিতে পারি বিশুদ্ধঘি খাওয়ার উপকারিতা
ঘি তে থাকা ফ্যাটি এসিড শরীরে শক্তি যোগায়। এছাড়াও ঘিতে আছে স্বাস্থ্যকর ওমেগা ফ্যাটি এসিড, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও হার্ট ভালো রাখতে দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে এবং সামগ্রিক ভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ঘিয়ের অবদান অতুলনীয়।
শক্তি বৃদ্ধি করে
শরীরের শক্তি বাড়াতে আপনার খাদ্য তালিকায় ঘি রাখতেই পারেন। কেননা এটা শরীরের পুষ্টি পৌঁছে দেয়। গরম ভাতের সঙ্গে এক চামচ ঘি খেতে পারেন তবে ঘি তে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিৎ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ঘি সেবন
প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় গরম ভাতের সাথে ঘি রাখতে পারেন এতে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। ঘি খেলে নানান ধরণের সংক্রমণ ও অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
পানির অভাব দূর করে
শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ঘি অনেক ভূমিকা পালন করে। কোন কারণের পানি ঘাটতি দেখা দিলে পানি খাওয়ার পাশাপাশি কিছু পরিমাণে ঘি খেতে পারেন। ঘি খেলে ত্বকও ভালো থাকে।
গর্ভাবস্থায় ঘি খাওয়ার উপকারিতা
অনেকেই মনে করেন গর্ভাবস্থায় একজন মা যা খায় গর্ভের শিশু সরাসরি তা গ্রহণ করে। এই সময় একজন গর্ভবতী মা ঘি খেলে শিশুর গায়ের রং উন্নত করতে এবং প্রসবের জন্য মায়ের পেশিকে আরো শক্তিশালী করতে সহযোগিতা করে।
এছাড়াও হজমের সমস্যা দূর করে, চোখের জ্যাতি বাড়ায়, মানসিক চাপ,উদ্বেগ কমায়, ঘি খেলে মিনারেল ও ফ্যাটি এসিড ভালোভাবে শোষিত হয়, ত্বক ভালো রাখে এবং মুখের ঘা সহ যেকোন সমস্যা দূর করে।
ঘি খাওয়ার নিয়ম
আপনি ঘি যে কোনো খাবারের সাথে খেতে পারেন। তবে খালি পেটে খাবার সময় ১-২ চামচ আর বেশি খাওয়া উচিৎ না। এছাড়া গরম ভাতের সাথে মিশিয়ে, সরিষা তেলের পরিবর্তে ভাঁজি বা ভর্তায় ঘি মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। অনেকে পরোটা তেলের পরিবর্তে ঘি দিয়ে ভেজে খেতে পছন্দ করেন।
খালি পেটে যে ভাবে খাবেন
- এক চামচ ঘি গরম করে নিন।
- সাথে এক ক্লাস পানি হালকা গরম করে নিন।
- ঘি পানির সাথে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন।
- সকালে এই পানি খেয়ে নিন তবে এই পানি খাওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যে অন্য কোনো খাবার খাবেন না ।
আমরা ঘি যে ভাবেই খাই না কেন এর উপকারিতা অপরিসীম। তবে অবশ্যই পরিমাণ মতো খেতে হবে। কোনো কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া ভালো না। অনেকে ভাবেন ঘি খেলে স্বাস্থ্য/ওজন বেড়ে যায়। মূলত ঘি খেলে ওজন বাড়ে না বরং স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
Reviews
There are no reviews yet.